,

বাহুবলে পরকিয়ার সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক তারেকের উপর হামলা

জুয়েল চৌধুরী :: বাহুবলের কাজী আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের কারনে সাংবাদিক তারেক হাবিবের উপর হামলা চালিয়ে ক্যামেরা চিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিক মহলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ৩টার সময় হবিগঞ্জ শহরের তিনকোনা পুকুড়পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত তারেক দৈনিক সমাচার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। সুত্র জানায়, বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পূর্ব রুপশংকর (প্রকাশিত বানিয়াগাও) গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র কাজী আব্দুল হাইয়ের পরকিয়া সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের কারনে সে ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে গত সোমবার দুপুরে তারেক হাবিব এর উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় জান মালের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে আব্দুল হাই ও তার নামদারী স্ত্রী আলেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন। এতে তারা আরও ক্ষীপ্ত হয়ে গতকাল দুপুরে কাজী আব্দুল হাইসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন লোক একটি কাল গøাসের নোহা গাড়ি নিয়ে কর্মস্থল থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সে চিৎকার করলে আব্দুল হাই চাকু দিয়ে তার দুই হাতে আঘাত করে  এবং তার ব্যবহৃত মুল্যবান ডিএসএলআর ক্যামেরা চিনিয়ে নেয় পরে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে হামলাকারী পালিয়ে যায়। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সকলেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের ডাক্তার হায়দার আলী জানান, আহত তারেকের দুই হাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রসঙ্গত, বাহুবলে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেলেন ৩ সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী। স্ত্রী ও সংসার হারিয়ে তড়িগড়ি করে দেশে ফিরে নিরুপায় হয়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে আদালতে মামলা দায়ের করেন প্রবাসী স্বামী। মামলাটি বিচারক আমলে নিয়ে আইন-আনুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখায় প্রেরন করেন। মামলার সুত্রে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার চন্দনিয়া-বালিচাপড়া গ্রামের আতাব উল্লার পুত্র দুবাই প্রবাসী আব্দুল হাইয়ের সাথে ১০ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের বানিয়াগাঁও গ্রামের সিদ্দিক আলীর কন্যা আলেয়া আক্তার (৩০) এর। বিয়ের পরে তাদের সংসারে পর-পর তিনটি সন্তান জন্ম গ্রহন করে। জিবিকার তাগিতে আব্দুল হাই দুবাই চলে যায়। স¤প্রতি বানিয়াগাও গ্রামের কাজী আব্দুল গফুরের পুত্র কাজী আব্দুল হাই (২৫) এর সাথে পরকিয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পরে আলেয়া। এক দিন আলেয়ার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাদেরকে হাতে-নাতে আটক করে এরপরও আব্দুল হাই পরকিয়া চালিয়ে যায়। অবস্থায় বেগতিক দেখে আলেয়া ৩ সন্তান রেখে তার পরকিয়া প্রেমিক আব্দুল হাই এর সাথে গত ৫ মে রাতে টাকা-পয়সা নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। খবর পেয়ে তার স্বামী দেশে এসে স্ত্রীকে হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। অনেক খোঁজা-খুজি করেও স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে না পেরে অবশেষে গতকাল ৩ সন্তান নিয়ে আদালতের হাজির হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করার কারনেই কাজী ও তার লোকজন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়।


     এই বিভাগের আরো খবর